প্রকাশ: শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪, ৫:৩৮ পিএম আপডেট: ১৩.০৭.২০২৪ ৫:৪১ PM
অনেক চেষ্টার পর যখন তৈরি হয় বসবাসের স্বপ্নের ঘর, সেই ঘর সাজাতে লাগে ফার্নিচার। আর মনেরমত রুচিসম্মত সল্পমূল্যের ফার্নিচার যেখানে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায় তার নাম তক্তারচালা।
বলছিলাম টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাট তক্তারচালা বাজারের কথা। যেখানে প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করে সাধারণ মানুষের পছন্দ সই রুচিসম্মত ফার্নিচার তৈরি করে থাকেন। এখানে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক শোরুম ও পাঁচ শতাধিক কারখানা। শোরুমগুলোতে শোভা হচ্ছে নানা ধরনের ওয়াল শোকেস, শোকেস, বক্স খাট, হাফ বক্স খাট, সোফা, আলমিরা, ডেসিন টেবিল, ডাইনিং টেবিল, আলনা হিন্দুদের পূজা মন্ডব, চেয়ার, ব্রেঞ্চ, টেবিল, জানালা, দরজাসহ নানা ধরনের ফার্নিচার। এসব ফার্নিচার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় আকাশমনি, সেগুন, মেহগনি, কাঁঠালসহ নানা প্রজাতির কাঠ। ব্যবসায়ীদের নানা ডিজাইন ছাড়াও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজাইনের ফার্নিচার তৈরি করা হয়। সপ্তাহের প্রতিদিনই খােলা এই হাট তবে শনিবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।
হেলেনা ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সখীপুরে প্রচুর পরিমাণে কাঠ গাছ উৎপাদন হয়, যার কারণে অল্প মূল্যে আমরা কাঠ কিনতে পারি এবং ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে স্বল্পমূল্যে ফার্নিচার তৈরি করে দিতে পারি।
তক্তারচালা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান মিয়া বলেন, আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী ফার্নিচারের হাট থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ফার্নিচার যাচ্ছে। কম মূল্যে মানসম্মত ফার্নিচার পাওয়াই সাধারণ ক্রেতা এবং ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে ফার্নিচার নিতে দিন দিন বেশী আগ্রহী হচ্ছে।
বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ ফরহাদ শিকদার দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী ফার্নিচারের হাটে ক্রেতা এবং বিক্রেতা সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে আমরা সর্বদা কাজ করে থাকি। সরকার এখান থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পেয়ে থাকে এবং বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে আমাদের এই ফার্নিচার তার খ্যাতি ধরে রাখবে বলে আমরা আশা করি।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর