প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪, ৬:০৪ পিএম
কোটা বিরোধি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভৈরব রেলওয়ে থানাধীন এলাকায় ৪ টি ট্রেন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক ৪ টি মামলায় দায়ের করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। এসব মামলায় অজ্ঞাত ৫৭৫ জনকে আসামি করা হয়। ইতিমধ্যে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে পুলিশ জানায়, গত ১৮ জুলাই নরসিংদীর বাসাইলে নাশকতাকারিরা কর্নফুলি এক্সপ্রেস ট্রেন ভাঙচুর করে । এতে আসামি করা হয় অজ্ঞাত ৫ শত জনকে। এ মামলায় গ্রেফতার করা হয় ২২ জনকে। ১৯ জুলাই ভৈরব ষ্টেশনে দাড়ানো অবস্থায় সোনারবাংলা ট্রেনের ২টি বগি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তকারীরা। এ মামলায় অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ৫ জন। একই দিনে খানাবাড়ি রেলওয়ে ষ্টেশনে ঢাকাগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতাকারিরা আগুন ধরিয়ে দিলে ট্রেনের অধিকাংশ বগী পুড়ে যায়। এ ঘটনায়ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার করা হয় ৬ জনকে। ঐদিনই দৌলতকান্দি রেল ষ্টেশনে ঢাকাগামী পারাবত ট্রেনের বিভিন্ন বগী ভাঙচুর করলে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ৪ জনকে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলীম সিকদার বলেন, গত ১৮ ও ১৯ জুলাই ভৈরব রেলওয়ে থানাধিন বিভিন্ন এলাকায় ৪ টি ট্রেনে ব্যপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুস্কৃতকারীরা। এ সব ঘটনায় পৃথক ৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসকল মামলায় অজ্ঞাত ৪৬০/৫৭৫ জনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত এসব মামলায় ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ যৌথভাবে মামলাগুলো তদন্ত করছে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর