প্রকাশ: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৩৮ পিএম
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক কারো নাম পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ও মুসল্লিদের দাবি, নামাজের পরপরই সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর উস্কানিমূলক আচরণে ঘটনাটি ঘটেছে। শান্ত লক্ষ্মীপুরকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে তমিজ মার্কেট এলাকা উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুর বাসার সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চকবাজার জামে মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান টিপু চক বাজার জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে নামাজ পড়তে আসেন। নামাজ শেষেই তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে বের হয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে দ্রুত দ্রুত বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারমুখি ছিলেন। তারা মসজিদ সামনে থেকে বাজারের বিভিন্ন সড়কে স্লোগান দিয়ে সাধারণ মুসল্লী ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে তমিজ মার্কেট এলাকায় টিপুর বাসার ভেতরে অবস্থান নেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপনের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ তাদেরকে আটকে রাখার জন্য সেখানে অবস্থান নেয়।
এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল শেষেই কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়। মিছিলটি চকবাজার মসজিদের সামনে গেলেই শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান শুরু করে। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে গেলে মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে ও অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেয়। এতে পুলিশের বাধা ভেঙে লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারাও শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এরমধ্যে ৭-৮ শিক্ষার্থীকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। শিক্ষার্থীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে ছাত্রলীগের দুইজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর