বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
ঢাকায় ডেঙ্গুর লার্ভা বেড়েছে ৩ গুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:৩৭ AM আপডেট: ৩০.১২.২০২৩ ১১:৪৪ এএম
ঢাকার দুই সিটিতে বর্ষা-পরবর্তী এডিস মশার লার্ভা বা শূককীটের উপস্থিতি গত বছরের বর্ষাপরবর্তী সময়ের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। এখনই সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগ না করলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার।

চলতি ডিসেম্বরের ৮ থেকে ১৮ তারিখ ঢাকার দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডে বর্ষা–পরবর্তী লার্ভা জরিপ হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর সিটির ৪০টি ও দক্ষিণের ৫৯টি ওয়ার্ডে চলে জরিপের কাজ। ৩ হাজার ২৮৩টি বাড়ি থেকে সংগৃহীত নমুনায় উত্তর সিটির ১১ শতাংশের বেশি ও দক্ষিণের ১২ শতাংশের বেশি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স (বিআই)’। এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব যত বেশি থাকে, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব তত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এবার দুই সিটিতে বিআই গত বছরের চেয়ে তিন গুণের বেশি। গত বছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে বিআই ছিল যথাক্রমে প্রায় ৪ ও ৫ শতাংশের বেশি। চলতি বছর এ হার যথাক্রমে ১৩ ও ১৪ শতাংশের বেশি।

কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, লার্ভা থেকে সাত দিনের মধ্যে কামড় দেওয়ার উপযোগী মশার জন্ম হয়। আর লার্ভার হিসাবই বলে দেয়, এডিস মশার বিস্তার কতটা হবে। এ সম্পর্কে ধারণা পেতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা বছরে তিনবার (প্রাক্‌-বর্ষা, বর্ষা এবং বর্ষা-পরবর্তী) রাজধানীতে লার্ভা জরিপ করে। রাজধানীর বাইরেও জরিপ হয়। ফলাফল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকেও দেয় তারা।  

দেশে ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৬। এ সময় মৃত্যু হয় ৮৪৯ জনের। চলতি বছরের শুরু থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৯৪৫। আর মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭০১ জনের।

সাধারণত শীত মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসে। স্বাভাবিকভাবে চলতি ডিসেম্বরেও (শীতে) আক্রান্ত ও মৃত্যু অন্যান্য মাসের চেয়ে কমে এসেছে। তবে এই ডিসেম্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের যেকোনো ডিসেম্বর মাসের চেয়ে বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের বেশি, মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের ২৮ দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে, মারা গেছেন ৭৯ জন।

বাসাবাড়িতে লার্ভা পাওয়ার হার ও বিআইয়ের উচ্চহার শঙ্কা জাগানোর মতো বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদ মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘৫ শতাংশের বেশি বাসাবাড়িতে লার্ভার উপস্থিতিই অনেক বেশি বলে গণ্য করা হয়। সেখানে এবার দ্বিগুণ বা তিন গুণ হয়েছে। আবার বিআইও বেশি। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি ভবিষ্যতে নাজুক হওয়ার আশঙ্কা আছে।’

/এমএ/

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






● সর্বশেষ সংবাদ  
● সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
অনুসরণ করুন
     
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী
স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেড -এর পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক আবরণ প্রিন্টার্স,
মতিঝিল ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ১০, তাহের টাওয়ার, গুলশান সার্কেল-২ থেকে প্রকাশিত।
ফোন: +৮৮০২-৮৮৩২৬৮৪-৬, মোবাইল: ০১৪০৪-৪৯৯৭৭২। ই-মেইল : e-mail: swadeshnewsbd24@gmail.com, info@swadeshpratidin.com
● স্বদেশ প্রতিদিন   ● বিজ্ঞাপন   ● সার্কুলেশন   ● শর্তাবলি ও নীতিমালা   ● গোপনীয়তা নীতি   ● যোগাযোগ
🔝