প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৪:১৮ পিএম
প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোকে দমিয়ে রেখে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ তুলে টেক জায়ান্ট অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালতে মামলাটি দায়ের করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। মামলা চালিয়ে নিতে ১৬ সদস্যের আইনজীবী দল গঠন করেছে সরকার। জানা গেছে, এই দলের প্রত্যেকেই এক একটি অঙ্গরাজ্যের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)।
৮৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কূটকৌশল এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্টফোনের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার ও বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে অ্যাপল। নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত সার্বিক অপারেশনের অন্তত ৫টি ক্ষেত্রে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে কোম্পানিটি।
আদালতে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেছে মার্কিন সরকারের আইনজীবী দলটি। দলের অন্যতম সদস্য অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্মার্ট ফোনের বাজারে প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা নিশ্চিতের জন্য নিজেদের একচেটিয়া প্রভাবের অপব্যবহার করছে অ্যাপল,যা যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত আইনে অপরাধ। ক্রেতাদের এমন কোনো কোম্পানির পণ্য চড়া মূল্য দিয়ে কেনা উচিত নয়, যেটি আইনের কোনো পরোয়া করে না।’
সংবাদ সম্মেলনে মেরিক গারল্যান্ড বলেন, ‘অ্যাপল কখনো চায় না যে তাদের আইফোনের অ্যাপস্টোরে যেসব অ্যাপ রয়েছে, সেসবের চেয়ে উন্নত কোনো অ্যাপ বাজারে আসুক। নতুন প্রতিযোগী অ্যাপের আগমন ঠেকাতে অ্যাপল নিয়মিত তার ‘অ্যাপ রিভিউ’ প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করছে।’
গারল্যান্ড আরো বলেন, স্মার্টওয়াচের বাজার নিজেদের দখলে রাখতে আইফোনে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে অ্যাপল, যার ফলে অ্যাপলের নিজেদের কোম্পানির তৈরি স্মার্টওয়াচ ব্যতীত অন্য কোনো কোম্পানির স্মার্টওয়াচের সঙ্গে যেন আইফোনের সংযোগ স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে মামলা দায়েরের পর এক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপল জানিয়েছে, তারা কোনো অবৈধ তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত নয় এবং কোম্পানি ‘সর্বশক্তি দিয়ে’ এসব ‘ভুয়া’ অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। অ্যাপলের মুখপাত্র ফ্রেড শেইনজ এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বলেছেন , ‘তথ্য-উপাত্ত এবং আইনের ভিত্তিতে এ মামলা ভুল। অ্যাপল সর্বশক্তি দিয়ে এটি মোকাবেলা করবে।’
/এম/