প্রকাশ: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:৫৫ পিএম
‘আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। আমি কোনো শিক্ষার্থীকে হত্যা করিনি। আমাকে বাঁচান।’ বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তাকে হাজির করা হলে এজলাস কক্ষে কান্না জড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম।
এদিন শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওসি মাজহারুল ইসলাম সাভার এলাকায় গণহত্যায় সম্পৃক্ত ছিলেন।’
এসময় চিৎকার করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কখনো সাভারে দায়িত্ব পালন করিনি। জুলাই-আগস্টে আমি গুলশান থানায় ছিলাম। আমি গণহত্যায় জড়িত ছিলাম না।’
তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আপনি নির্দোষ হলে সুবিচার পাবেন।’
এরপর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ভুল সংশোধন করে বলেন, ‘মাজহারুল ইসলাম আন্দোলন চলাকালে গুলশান থানার ওসি ছিলেন। তার নেতৃত্বে গুলশান প্রগতি সরণি এলাকায় গণহত্যা চালানো হয়েছে।’
এর আগে, আজ সকাল ১০টার পর পুরনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে ওই আটজনকে হাজির করা হয়। তাদের সবার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের আলাদা আলাদা অভিযোগ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
৮ কর্মকর্তা হলেন- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ছাড়া বাকি ছয় কর্মকর্তা হলেন– ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই ৮ কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বুধবার (২০ নভেম্বর) তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তাদের আনা হবে ট্রাইব্যুনালে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর