ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি আন্দোলন করেছে: ড. এম এ কাইয়ুম
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ড. এম এ কাইয়ুম বলেছেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ ভোটার বিহীন নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিলো। কিন্তু জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপির রাজপথে আন্দোলন করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার রাজধানীর ভাটারার খিলবাড়ির টেক এলাকায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে শীর্তাত হাজারো মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এম এ কাইয়ুম বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এককভাবে ক্ষমতার মসনদে থাকার জন্য জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন। এমনকী কথা বলার স¦াধীনতাও ছিল না। আওয়ামী মতে বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হতে হত। ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। এখন আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করতে পারবেন।
এম এ কাইয়ুম বলেন, আপনারা জানেন ৫ আগষ্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার আগে অনেককে হামলা মামলা নির্যাতন করেছে। গুম খুন করেছে। অনেকেই সন্তান স্বামী আত্বীয় স্বজনকে হারিয়েছেন। বিশেষ করে জুলাই আগষ্টের আন্দোলনে অনেক শহীদ হয়েছেন। আমরা শহীদ পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। তাদের পাশে থাকার চেস্টা করছি। আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করেছি, করছি এবং আগামীতেও করবো।
তিনি বলেন, এখন রাজনীতি করার সুযোগ এসেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে কোন নব্য বিএনপি তৈরি করা যাবে না। আত্বীয় স্বজন যাইহোক নব্যবিএনপির জায়গা দলের ভিতরে হবে না। এজন্য সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। কারণ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে কঠিন ও কঠোর নির্দেশ দিয়েছে।
মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এম এ কাইয়ুম বলেন, আমাদের আগামীর প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হলে মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হবে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কোনভাবে কেউ যে মাদকাসক্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর যারা মাদক ব্যবসায়ী তাদেরকে সনাক্ত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। সুন্দর সমাজ সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে মাদক নিমূলের বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এজিএম শামসুল হক বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা হামলা মামলার শিকার হয়েছি। এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে হবে। আমাদের নেতা ড. এম এ কাইয়ুম নেতৃত্বে দলের সকল কর্মকান্ড সফল করতে হবে। আমাদেরকে আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ভাটারা থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভাটারা থানা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আবুল কাশেম, ভাটারা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক দলের ১ নং সহ সভাপতি ও ভাটারা থানা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির উদ্দিন পলাশসহ ভাটারা থানার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর