প্রকাশ: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৪ পিএম
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আভিভা ফাইন্যান্স থেকে পাঁচ মাস আগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে (এস আলম) সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অথচ এখনো এস আলমের দুই গৃহকর্মী ও এক গাড়িচালককে বেতন দিচ্ছে আভিভা ফাইন্যান্স। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এস আলমের এক সময়কার সহযোগী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের সঙ্গে কাজ করতেন, এমন লোকেরাই এখন আভিভা ফাইন্যান্সের মূল হর্তাকর্তা।
বহুল আলোচিত পি কে হালদার একসময় আভিভা ফাইন্যান্সের এমডি ছিলেন, আর এস আলম ২০০৯ সাল থেকে ছিলেন চেয়ারম্যান। অনিয়ম-দুর্নীতির জেরে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ২০২০ সালে নাম বদলে হয় আভিভা ফাইন্যান্স। এর আগে ২০১০ সালে ওমান বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির নাম পাল্টে করা হয়েছিল রিলায়েন্স ফাইন্যান্স। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আভিভা ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে এস আলমকে সরিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালকদের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনমতে, প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকার ঋণই নামে-বেনামে তুলে নেওয়া হয়েছে। ঋণের ৬৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ ঋণ গেছে এস আলমের পকেটে। তাই গ্রাহকেরা অনেক দিন ধরেই টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।
নথিপত্রে দেখা যায়, গত বছরের মার্চ-জুন সময়ে সাইফুল আলমের নামে চারটি স্থায়ী হিসাব খোলা হয়। এসব হিসাব খোলেন আভিভা ফাইন্যান্সের কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামে এস আলমের সহযোগী হিসেবে পরিচিত এস এম ফজলুল কাদের রিপন। এসব হিসাবে ৬ কোটি টাকা ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪২৫ টাকা জমা করা হয়। তবে সরকার পরিবর্তনের পর একটি হিসাব জিএম এন্টারপ্রাইজ ও তিনটি হিসাব ইমপালস ট্রেডিংয়ের নামে পরিবর্তন করা হয়। এরপর টাকাও তুলে নেওয়া হয়। এমন আরও অনেক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর