প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩৯ AM
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বয়ান, তালিম, জিকির ও অন্যান্য ইবাদতের মধ্য দিয়ে চলছে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম। আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) হবে আখেরি মোনাজাত।
আজ মঙ্গলবার ফজর নামাজের পর মুসুল্লিরা নিজেদের খিত্তায় অবস্থান নিয়ে জোটবদ্ধভাবে তালিম নিচ্ছেন। তাসকিলে আঞ্চলিক মুরুব্বিদের আলোচনা, মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য তাবলীগের নিয়ম-নীতি ধর্ম পরিকল্পনা নিয়ে পৃথক পৃথক বয়ান, ইজতেমা শেষে চিল্লাবন্দি হওয়ার জন্য কার্যক্রম এবং যৌতুকবিহীন বিয়ে এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম চলছে।
আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণকারী ও ইজতেমা শেষে বাড়ি ফেরা মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা হবে আজ। এছাড়াও মুসল্লিদের জন্য ১১টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে বিভাগ।
প্রথম ধাপের মতো ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি না থাকলেও তাবলীগের রীতি অনুযায়ী বাদ ফজর হয়েছে আমবয়ান। বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা উবায়দুল্লাহ খুরশিদ। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জাকারিয়া। সকালে তালিমের মোজাকারা (আলোচনা) করেন ভারতের মাওলানা জামাল সাহেব। পরে খিত্তায় খিত্তায় তালিম করা হয়। ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা সাহেব। এরপর নামাজের মিম্বারের সামনে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কথা বলেন পাকিস্তানের মাওলানা ফরীদ সাহেব।
আগামীকাল আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় ১১টি বিশেষ ট্রেন ও বাড়তি বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা, পর্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা—এই পাঁচটি বিশেষ ট্রেন ব্যতীত টঙ্গী স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে।