প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৫৬ পিএম

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে ৫ বছরের জন্য ক্রিকেটীয় সব কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আজ (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইসিসি এ খবর জানিয়েছে। আরও বলা হয়েছে সোহেলি আক্তার ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে।
আইসিসি জানিয়েছে, সোহেলি আক্তার আইসিসির দুর্নীতি দমন আইনে পাঁচটি বিধি লঙ্ঘন করেছেন। শুনানিতে তিনি সকল অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ ওঠে। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন সোহেলি আক্তার এবং বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান। তবে সেই ক্রিকেটার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানিয়ে দেন।
আইসিসির জানানো মতে সোহেলি আক্তার যে পাঁচটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন, তা হলো:
ধারা ২.১.১: খেলার ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ বা অন্য যেকোনো দিক অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা বা এর সঙ্গে যুক্ত থাকা, যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করা।
ধারা ২.১.৪: অন্য কোনো ক্রিকেটারকে দুর্নীতির কাজে উৎসাহিত করা, প্ররোচিত করা বা সহায়তা করা।
ধারা ২.৪.৪: ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের তথ্য আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
ধারা ২.৪.৭: তদন্তে বাধা দেওয়া বা বিলম্ব ঘটানো, প্রাসঙ্গিক নথিপত্র গোপন করা, বিকৃত করা বা ধ্বংস করা।
সোহেলি আক্তার ২০২২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে ১৩টি ওয়ানডে এবং ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি এবং দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ১১টি উইকেট নিয়েছেন।
এদিকে সোহেলি আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়। জাতীয় দলের বাইরে থাকা সোহেলি এক নারী ক্রিকেটারকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। এরপর ওই ক্রিকেটার ঘটনাটি দ্রুত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানান। দুই বছর ধরে তদন্ত শেষে আইসিসি আজ তাকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে হতাশা এবং বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে কারণ সোহেলি আক্তার একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ অনেকের জন্যই অবিশ্বাস্য।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর