প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:২৪ পিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের এক ছাত্রী আফসানা এনায়েত এমির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রী ভুক্তভোগী শিক্ষককে থাপ্পড় দেন। এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অভিযুক্ত ছাত্রীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে।
অভিযুক্ত আফসানা এনায়েত এমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ঘটনা ঘটে ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাত ১২টার দিকে যখন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে নির্মিত কংক্রিটের নৌকা ভাঙতে যান। সহকারী প্রক্টর ড. মো. কোরবান আলী ঘটনাস্থলে গেলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রীটি তাকে থাপ্পড় দেন।
এছাড়া ওই দিন শোনা গেছে যে শেখ হাসিনা হলের কিছু ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যারা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেছে এবং এক সাংবাদিককে মারধর করা সহ একজন সাংবাদিকের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অভিযুক্ত ছাত্রীসহ হামলায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী গাজী ইমরান বলেন, "শেখ হাসিনা হলে এখনও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রয়ে গেছে। তাদের কারণে এমন হামলার ঘটনা ঘটছে। এই ছাত্রীর সনদপত্র বাতিলসহ দ্রুত স্থায়ী বহিষ্কার করা উচিত।"
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, "শিক্ষকের ওপর হামলা ছাত্রীদের মূল্যবোধের চরম অবনতির প্রমাণ। প্রশাসন যদি আইনি পদক্ষেপ না নেয়, তবে এটি তাদের ব্যর্থতা হবে।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, "ঘটনাটি কিছুদিন আগে ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে, যার প্রতিবেদন আজই দাখিল হবে। প্রতিবেদন অনুসারে, দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর