
নিত্যপোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে অযৌক্তিক ও অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "এটি একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।"
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
হাতেম বলেন, “শিল্পে আমাদের যখন প্রাকৃতিক গ্যাস দেওয়া হয়, তখন আমরা ১৫ পিএসআই বা ৪০ পিএসআই নিয়ে থাকি, কিন্তু আমরা ২ বা ৩ পিএসআইর বেশি পাইনি। তিতাসের রিপোর্টে দেখেছি ৪০ শতাংশ সিস্টেম লস, মানে গ্যাস চুরি। গ্যাসের চুরির কারণে বাকি চাপ আমাদের ওপর পড়ে। বর্তমানে তিতাস বলছে ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে, কিন্তু তা এখনও ১৩ শতাংশ সিস্টেম লস রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জে হাজার হাজার অবৈধ চুলা চলছে, সেগুলোর সঙ্গে তিতাস জড়িত। সিস্টেম লস কমালে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজনই পড়তো না।”
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, “বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করার পর আমদানি মূল্যের ওপর সরকার ভ্যাট বসিয়ে ব্যবসা করছে। ১২ টাকার গ্যাসের জন্য আমরা ৩০ টাকা দিচ্ছি। যদি তা ৭৫ টাকা করা হয়, তবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবো না।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার জন্য, কারণ এটি শিল্প খাতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে।
এ গণশুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মিজানুর রহমান, ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ শাহিদ সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক, সংগঠন নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং অ্যাক্টিভিস্টসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন।
এর আগে, পেট্রোবাংলা এবং গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিইআরসি এই গণশুনানি আয়োজন করে। পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে সরকারের বিশাল ভর্তুকি দিতে হবে, কারণ দেশে গ্যাসের চাহিদা বর্তমানে পুরোপুরি পূরণ হচ্ছে না এবং এলএনজি আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এমআর