চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুই ফাইনালিস্ট ভারত ও নিউজিল্যান্ড দল নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। কেউ এগিয়ে রাখছে নিউজিল্যান্ডকে, কেউ ফেবারিট মানছেন ভারতকে। তবে দু'দলের ক্রিকেটাররাই আসর জুড়ে দাপটে দেখিয়েছেন ব্যাটে-বলে। যদিও এক মাঠেই টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ খেলায় ফাইনালে বাড়তি সুবিধা পাবে টিম ইন্ডিয়া। আগামী ৯ মার্চ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।
এবার দেখে নেয়া যাক এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পারফরম্যান্স আর শক্তিমত্তায় কোন দল কতটা এগিয়ে।
গ্রুপ পর্বে মেন ইন ব্লুদের বিপক্ষে হারলেও, ব্যাট-বলের পরিসংখ্যানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। এবারের আসরে উইলোবাজি করছেন রাচিন রবীন্দ্র। ৩ ম্যাচে ২২৬ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি। ৩ ম্যাচের দুটিতেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। রাচিনের চেয়ে মাত্র ১ রান বেশি নিয়ে সবার উপরে ইংলিশ ব্যাটার বেন ডাকেট। তবে ফাইনাল ম্যাচে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে রাচিনের সামনে। মেগা ফাইনালে ভারতের গলার কাটা হতে পারেন ২৫ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার।
রাচিন ছাড়াও ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন টম ল্যাথাম ও কেইন উইলিয়ামসনও। ৪ ম্যাচ ১টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি পেয়েছেন এই দুই ব্যাটার।
এদিকে রাচিনের মতো ভারত দলের ভরসার নাম বিরাট কোহলি। চার ম্যাচে ২১৭ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন ৪র্থ স্থানে। ফাইনালে শীর্ষস্থানের জন্য রাচিনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবেন বিরাট। এছাড়া ১৯৫ রান করেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবারই সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ব্যাটাররা। আসরে মোট সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে ১৩টি।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বোলিংয়েও ভারতের থেকে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। দুবাইয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতকে একাই চাপে ফেলে দেন ম্যাট হেনরি। ৪২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন শুভমান গিল, বিরাট কোহলিসহ ৫ উইকেট। ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে হেনরিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট টেকার। তাই ডানহাতি এই পেসারের দিকে আলাদাভাবে চোখ রাখতে হবে ভারতের। এছাড়া ৭ উইকেট নিয়ে তালিকার তিনে মিচেল স্যান্টনার।
এদিকে টুর্নামেন্টে ফাইফার রয়েছে ভারতের দুই বোলার মোহাম্মদ শামি ও বরুণ চক্রবর্তির। ৮ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে শামি। আর ৭ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন বরুণ।
পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ড কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, ফাইনালে ফেবারিটের তকমা নিয়ে মাঠে নামবে ভারত। কারণ, নিউজিল্যান্ড লাহোর-করাচি-রাওয়ালপিন্ডি-দুবাই ঘুরে ঘুরে সব ম্যাচ খেলেছে। সেখানে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সব ম্যাচ খেলছে একই মাঠে। কিছুটা এগিয়ে থেকে ভারত যে ফাইনালে নামবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্বদেশ প্রতিদিন/কেএইচ