প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫০ পিএম

সিলেটে মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরের টিন ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ধান, সবজি ও অন্যান্য মৌসুমি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বইছিল ঝড়োহাওয়া, সঙ্গে ছিল বজ্রপাত। রাত ৮টার দিকে বৃষ্টির পাশাপাশি হঠাৎ শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। শিলবৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তাঘাট। সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটেন। সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলা বিশেষ করে জৈন্তাপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও গোলাপগঞ্জে শিলাবৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল। জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে শিলাবৃষ্টি। রাস্তা ঢেকে যায় বড় বড় শিলায়।
শিলাবৃষ্টিতে এসব উপজেলার অনেকের ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। ফলে রাতে কয়েক দফা বৃষ্টি হলে তাদের ঘরে পানি পড়ে আসবাবপত্র ভিজে যায়। পাশাপাশি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস ছিল। সেই পূর্বাভাসের আলোকে সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বড়লেখায় বৃহস্পতিবার রাতে দুই দফা অসময়ের কালবৈশাখী আর শিলাবৃষ্টিতে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে ব্যাপক গাছপালা। ৫ শতাধিক হেক্টর বোরো ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতের দুই দফা ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৫ শতাধিক বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের টিনের চাল ঝাজরা করে দিয়েছে ভারি শিলাবৃষ্টি। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্বদেশ প্রতিদিন/এনআর