প্রকাশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৮:১৬ পিএম আপডেট: ১৫.০৩.২০২৫ ৮:১৮ PM

জমে উঠেছে যশোরের রমজানের ঈদের বাজার। সব শ্রেণির মানুষ ছুটছেন তাদের পছন্দের পোশাক কেনার জন্য। এজন্য বিপণীবিতানগুলো থাকছে ক্রেতা বিক্রতায় ঠাসা। গরম উপেক্ষা করেও ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত যশোরের মানুষ। পবিত্র রমজান মাসের ১৪ দিন অতিবাহিত হতেই পছন্দের পোশাকটি বেছে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে ছেলে বুড়ো সবাই।
শনিবার বাজার ঘুরে যশোরের সিটি প্লাজা, মুজিব সড়কসহ অভিযাত বস্ত্র বিপনীগুলোতে ভিড় একটু বেশিই দেখা গেছে। দোকানীরা বলছেন, রমজানের ১ম সপ্তাহ থেকেই বাজারে ক্রেতাসাধারণকে আসতে দেখা যাচ্ছে। রমজানের আগেও কেউ কেউ এসেছেন। যদিও মূল বেচাকেনা রমজানের শেষের দিকেই হয় প্রতিবারই।
মণিরামপুরের রাজগঞ্জের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন যশোর কালেকট্টরেট চত্বরে, তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, কেনাকাটা তো করতেই হবে। তাই আগে-ভাগেই করাই ভালো। সাধ আছে সাধ্য নেই, ঈদের ক্ষেত্রে তা যেন প্রযোজ্য নয়। যেভাবেই হোক পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন জামা কাপড় ও জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে কার্পন্য করা ঠিক হবে না। তাই ছুটে এসেছি।
ইমিটেশনের কানের দুল, চুড়ি ও পারফিউমের দোকানেও ভিড় আছে। ঈদমার্কেটে সাধারণত সকালে আর বিকাল থেকে রাতপর্যন্ত ভিড় হচ্ছে। দুপুরে রাস্তাঘাট দোকান পাটে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কম।
এ দিকে যশোরের টেইলার্সগুলোতে খোঁজ নিয়ে জান গেছে অনেকে নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। প্রচুর কাজের চাপে হিমসিম খাচ্ছেন প্রায় সবগুলো টেইলার্স।
ব্যবসায়ীরা জানান, বরাবর ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের তারকারা যে সব পোশাক পরেন তার প্রতি এদেশীয় মেয়েদের দুর্বলতা থাকে। তারাও সে বিষয়টি মাথায় রেখে দোকানে পোশাক তুলেছেন। বিক্রিও বেশ সন্তোষজনক। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বিক্রিও তত বাড়ছে।
যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার রওনক জাহান জানান, সাধারণ মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে পারেন সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই মার্কেট, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকছে। এর বাইরেও রয়েছে পুলিশের মোবাইল টিম। আশা করছি এবারও ক্রেতারা ভালোভাবেই তাদের ঈদের কেনাকাটা করতে পারবেন।
স্বদেশ প্রতিদিন/এনআর