প্রকাশ: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১১:২৭ পিএম

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গেছে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কার্যক্রম। এতে অল্প খরচে চিকিৎসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী কমে যাওয়ায় ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ দিতে আগ্রহ হারিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মেয়েকে সঙ্গে করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ নিতে এসেছেন স্কুল শিক্ষিকা ফিরোজা পারভীন। তবে নোটিশ বোর্ড দেখে চোখ ছানাবড়া। কারণ পরপর তিনদিন ঘুরে ‘চিকিৎসক ছুটিতে’ থাকার এই একই নোটিশ বোর্ড দেখছেন তিনি। বাধ্য হয়ে বারবারই ফিরে যেতে হচ্ছে চিকিৎসা না নিয়েই।
জানা গেছে,রাজবাড়ী জেলার প্রায় ১২ লাখ জনসংখ্যার চিকিৎসাসেবার প্রধান ভরসাস্থল জেলা সদর হাসপাতাল। মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চালু হয়‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’। এতে ডিউটি সময়ের বাইরে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শ্রেণিভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পরামর্শ ফি নিয়ে রোগী দেখতেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে গত জানুয়ারি মাস থেকে বন্ধ হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের এই চিকিৎসা সেবা। দায় এড়াতে বিকেল হলেই টাঙিয়ে দেওয়া হয় ‘চিকিৎসক ছুটিতে’ থাকার নোটিশ।
ফিরোজা পারভীন স্বদেশ প্রতিদিনকে বলেন,পরপর তিনদিন এসে একই নোটিশ বোর্ড দেখছি। এই হাসপাতালের ডাক্তাররা কি প্রতিদিনই ছুটিতে থাকেন নাকি। জনগণের সঙ্গে এই তামাশা করার মানে কী?
আরেক রোগী মহসিন মৃধা বলেন, আগে যখন ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ চালু ছিল, তখন দরিদ্র রোগীরা কম টাকায় ভালো সেবা পেত। কিন্তু এ সেবা বন্ধ হওয়াতে এখন দরিদ্র রোগীদের ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পরামর্শ ফি দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান স্বদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ দিতে চিকিৎসকরা আগ্রহ হারিয়েছেন। তবে আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা করব।
স্বদেশ প্রতিদিন/এনআর