প্রকাশ: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৩ পিএম

এবার ঈদে দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন সবাই। ঈদের টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটির সঙ্গে এবার আগে-পরে মিলছে স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। আর এই ছুটি নির্বিঘ্নে কাটাতে বগুড়া জেলা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিষয়টি স্বদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর ধরে ঈদের ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে সরকার। ঈদ উপলক্ষে এবারই প্রথম পাঁচ দিনের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। ছুটি মূলত শুরু হচ্ছে ২৬ মার্চ (বুধবার) স্বাধীনতা দিবসের দিন। এরপর ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) একদিন অফিস খোলা। ২৮ মার্চ (শুক্রবার) শবে কদরের ছুটি। এবার ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। টানা পাঁচ দিনের ছুটি (২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) থাকবে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর মাঝখানে একদিন (৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার) অফিস খোলার পর আবার ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে মাত্র দু’দিন অফিস খোলা।
ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। বিশেষ করে জেলা শহর সহ জেলার সব গুলো উপজেলায় নজর দারির জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নয়েছে বগুড়া জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে জেলার গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা, অফিস-আদালত, শপিংমলসহ ব্যাপক লোকসমাগম হয় এমন স্থানে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েেনর সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে।
মহাসড়কের বগুড়া অংশে ডাকাতি প্রতিরোধ ও যানজট নিরসনসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পবিত্র রমজান ও ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ঈদ পূর্ববর্তী ও ঈদ পরবর্তী নিরাপত্তার ব্যাপারে সকল স্তরের পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা স্বদেশ প্রতিদিনকে জানান, রমজানে শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণই নয়, একই সাথে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষর নিরাপত্তা ও জাল টাকার অপব্যবহার রোধ করতে বগুড়া জেলঅ পুলিশ বদ্ধ পরিকর। তিনি জানান চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘জনসাধারণের কেনাকাটার সুবিধার্থে নৈশটহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বড় অংকের অর্থ পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
জেলার সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ‘রমজানে শহরবাসী যেন ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন, কেনাকাটা করতে পারেন সে লক্ষ্যে বগুড়া জেলা পুলিশ কাজ কওে যাচ্ছে। এবার ঈদে পুলিশ জেলাবাসীর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এনআর