প্রকাশ: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম

যশোরের ঝিকরগাছায় এক তরুণীকে গণধর্ষণে জড়িতদের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই, খুন, ধর্ষণ, নিপীড়ন রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘অবিলম্বে ধর্ষকদের বিচার করো করতে হবে’, ‘ধর্ষকেরা ধর্ষণ করে প্রশাসন কী করে?’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘আমাদের মা-বোনেরা রাস্তাঘাটে নিরাপত্তার সঙ্গে চলাফেরা করতে পারছে না। প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। শিশু, গৃহবধূসহ কোনো নারীই রেহাই পাচ্ছে না ধর্ষকদের ভয়াল থাবা থেকে। এমন বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা আন্দোলন করিনি, রাজপথে রক্ত দিইনি। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান এবং নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক রাশেদ খান, মুখ্য সংগঠক আব্দুল্লাহ আল-মামুন লিখন, ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব জান্নাতুল ফুয়ারা অন্তরা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মনিরামপুর উপজেলার তরুণী (১৯) গতকাল রোববার বিকেলে বেনাপোলে খালাবাড়ি থেকে ফেরার পথে গদখালী বাজারে নামেন। এরপর গদখালী বাজারের ফুলের দোকানদার আমিনুর রহমানের দোকানে যান। সেখানে থাকা চার যুবক ছিলেন। তাঁরা বন্ধু। ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁদের। সেই সূত্রে ওই তরুণীকে গদখালী এলাকায় ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে লিচুবাগানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে তাঁরা ওই তরুণীকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
৯৯৯-এ কল পেয়ে ঝিকরগাছার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বাপ্পী, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমান। রাতে ভুক্তভোগী তরুণী চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, আজ বিকেলে অভিযুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে।
স্বদেশ প্রতিদিন/এনআর