প্রকাশ: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৪ AM আপডেট: ১৯.০৩.২০২৫ ১০:০২ এএম

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধের অভিযানে নেমে এক বিক্রেতাকে ‘সতর্ক করে দিয়েছে’ ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন এ অভিযান চালান।
জালাল উদ্দিন বলেন, দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। তাই বিভিন্ন মহল থেকে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে আপত্তি ওঠায় অভিযান চালানো হয়। এক বিক্রেতাকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, আবার বিক্রি করলে জেল-জরিমানাও হতে পারে।
এসময় সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যতীত এবং লাইসেন্স ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে এক বছরের জেল জরিমানার বিধান রয়েছে।
অভিযানকালে এলাকাবাসীও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আশ্বস্ত করেন, এ এলাকায় আর ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় দুবাইফেরত আ ন ম নুরুল্লাহ মামুন তার বন্ধু শফিকুল ইসলামকে নিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি প্রচলন শুরু করেন। এ মাংসের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকায় আড়াইশ টাকা কেজির মাংস মুহূর্তেই তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা কেজি হয়ে যায়।
ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান।
স্বদেশ প্রতিদিন/কেএইচ