প্রকাশ: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৬ পিএম

পাহাড়ে আবারো ঝড়লো তাঁজারক্ত। বছর জুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ আর গোলাগুলিতে প্রতিনিয়তই পাহাড় রক্তে রঞ্জিত হওয়াটা এখন অনেকটা নিত্য নৈমিতিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরগুলোতে পাহাড়ের গুলির গর্জন আর লাশের মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে।
একই ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি গুলিতে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সদস্য সুবি ত্রিপুরা (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ ২০২৫) সকালের দিকে উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নে হেডম্যানপাড়ায় ঘটনা ঘটে। নিহত সুবি ত্রিপুরা স্থানীয় বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। একই ঘটনায় আহত হয়েছে নিহতের ছোট বোন তারাবতি ত্রিপুরা (২০) নামে আরো এক নারী। এ ঘটনায় আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানা দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোস্তাফা রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় বিলম্ব হলেও উদ্ধার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস সন্তু গ্রুপের একদল সশস্ত্র অস্ত্রধারী হেডম্যানপাড়ায় অবস্থানরত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য সুবি ত্রিপুরা নিহত হয়।
এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ এর পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিযে খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা নিন্দা জানান, জেএসএস সন্তু গ্রুপের ১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাইন্দংয়ের হেডম্যান পাড়ায় হানা দিয়ে শক্তি ত্রিপুরা ও কম্বল ত্রিপুরার নেতৃত্বে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ সদস্যদের হত্যা করা হয়।
একই সাথে বিবৃতিতে অংগ্য মারমা ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাইন্দংয়ে ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা ও নারীকে আহতের ঘটনায় জড়িত সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি প্রদান এবং সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
অপরদিকে সন্তুু লারমা নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করা হলেও সংগঠনটির কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্বদেশ প্রতিদিন/এনআর