প্রকাশ: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ধর্মীয় উগ্রবাদীদের অপতৎপরতা এবং চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী এবং পরাজিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি দেশে ফের গণতন্ত্রের কবর রচনা করবে।
অন্যদিকে গণতান্ত্রিক বিশ্বে ইমেজ সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের নামে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য করে অকারণ সময়ক্ষেপণের চেষ্টা হলে সেটি জনমনে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণে দেশের শুধু শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি এ সব কিছু ধ্বংস হয়নি, বরং বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘৃণার বিষবাষ্প, বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।’
দেশে হঠাৎ করেই অতীতের মতো নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে মন্তব্য করে তারেক বলেন, ‘দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের নিরাপত্তাহীন রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। সরকার, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি কিংবা অন্য কোনো কাজে হয়তো বেশি মনোযোগী থাকার কারণে, আমাদের নারীরা নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে কি না, এ বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন আছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যই মাফিয়া সরকারের পতন ঘটেনি—এ কথা যেমন সত্য। তার চেয়েও আরো চরম সত্য হয়তো একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না করার জন্যই কিন্তু মাফিয়া সরকারের নির্মম পতন হয়েছিল। সুতরাং একটি নির্বাচনকে শুধু কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়ার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করার অবকাশ নেই।’
স্বদেশ প্রতিদিন/এনআর