প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ২:৩৮ পিএম
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নওয়াজ শরিফ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটে পরাজতি হয়েছেন। এবারের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এটি বিরাট আশ্চর্যজনক ঘটনা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রধান নেতা নওয়াজ শরিফ মানসেহরাতে (নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫) স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নওয়াজ শরিফ এই আসনে ৬৩ হাজার ৫৪টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, শাহজাদা গাস্তাসাপ পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট। অর্থাৎ ১১ হাজার ৬৫৯ ভোটে পরাজিত হয়েছে নওয়াজ। ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এই ফলাফলকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) জন্য বড় বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশ্য নওয়াজ শরিফ লাহোরের এনএ-১৩০ আসনেও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন রশিদ।
ভোট গ্রহণের ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ভোটের আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগ, দলটির সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ী হতে দেখে দেরি করা হচ্ছে ফল ঘোষণায়। পর্যবেক্ষদের মতে, অতীতের নির্বাচনগুলোর বিবেচনায় এবারের ফল ঘোষণায় এতটা দেরি হওয়া ‘অস্বাভাবিক’।
পিটিআইয়ের অভিযোগ, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ী হতে দেখে নির্বাচনের ফল ঘোষণায় বিলম্ব করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের যে পর্দায় ফলাফল প্রদর্শিত হচ্ছিল তা-ও বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন দলটির নেতারা।
কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল বলছে, ফল প্রকাশে বিলম্ব ভোট কারচুপির লক্ষণ। ষড়যন্ত্র করে জনগণের রায় বদলে ফেলার অপচেষ্টার পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিটিআই।
/এমএ/