ডলার পাঠানোর কথা বলে ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ, অতঃপর...
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪, ৩:২৩ পিএম আপডেট: ১৪.০৩.২০২৪ ৩:৩০ PM
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতা সোহেল আহমেদ অপুকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি’র একটি চৌকস দল। বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিআইডির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভুক্তভোগী সুমন আল রেজার (৪০) সঙ্গে প্রতারক চক্রের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের একজন সদস্য নিজেকে ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন যে, ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের একজন ক্লাইন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে। ক্লাইন্টটি হাইতিতে গত ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করে এবং তার কোনো ওয়ারিশ নেই। এরপর প্রতারক সুমন আল রেজাকে ওই ব্যাংক ক্লায়েন্টের ওয়ারিশ হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে এবং ডিপোজিটকৃত টাকা উত্তোলনের পর দুজনে সমানভাগে ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে প্রতারক চক্রটি সুমন আল রেজার নিকট লাগেজ ভর্তি ডলার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রেরণের চার্জ বাবদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। সেই টাকা প্রদান করার পর প্রতারক চক্রটি ফেডারেল ট্যাক্স হিসাবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) দাবি করে। সুমন আল রেজা লাগেজ ভর্তি ডলারের প্রলোভনে পড়ে প্রতারক চক্রের কথামতো বাংলাদেশ ফেডারেল ট্যাক্স হিসাবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) গোল্ডেন লজিস্টিক এন্টারপ্রাইজের একাউন্ট নং-১৬৪১১০০০৬৬৮৯৬ ডাচ বাংলা ব্যাংক মিরপুর-১০ শাখা, ঢাকাতে পাঠিয়ে দেয়। শর্ত অনুযায়ী পার্সেল না পাওয়ায় সুমন আল রেজা বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এবং এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন।
আরো জানানো হয়, মামলাটির তদন্তভার সিআইডি গ্রহণ করার পর ব্যাংক একাউন্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গত ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ মো. আকাশকে (২৩) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র বস্তি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আকাশের বাবার নাম মো. আব্দুল মালেক পাইক। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে, প্রতারণকারী চক্রের আরেক সদস্য মো. ইব্রাহিমকে (৩০) একই দিন ঢাকার কল্যাণপুর পোড়াবস্তি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাবা মৃত রতন খান। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার পুবডাইয়ার বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃত আসামী দুজনই জেল হাজতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের তথ্যানুসারে প্রতারণাকারী চক্রের মূল হোতা অপুর নাম উঠে আসে।
প্রাথামিক তদন্তে জানা যায়, চক্রটি বিভিন্ন ভিকটিমের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ ১৮ হাজার ৩২৬ টাকা প্রতারণা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে।
/এম/